কয়েকদিন পরই ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিকড়ের টানে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে শহরের মানুষ। ঈদের ছুটির সময় পথে যানজট, ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগে বাড়ি ফিরছে। ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু ও উত্তরের যমুনা সেতুতে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দুটি থেকে ৬ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ) পদ্মা সেতুতে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এই সময় যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৬ হাজার ৪২৮টি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু সায়াদ বলেন, ২৪ ঘণ্টায় সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ১৪ হাজার ৯৯২টি এবং সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ১১ হাজার ৪৩৬টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকার টোল আদায় করা হয়।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার ৭টি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বরাবরের মতো মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে আলাদা লেন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে। তবে কোথাও থেকে যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত) যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এ ছাড়া দুপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য দুটি করে বুথ রয়েছে।