সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জেলায় প্রাণ গেছে ১০ জনের। এর মধ্যে হবিগঞ্জে প্রাণ গেছে ৪ ইটভাটা শ্রমিকের। ময়মনসিংহ ও সিরাজগঞ্জে দুজন কোরে মারা গেছেন দুর্ঘটনায়। চুয়াডাঙ্গায় বাসচাপায় নিহত ভ্যানের চালক-যাত্রী। অন্যদিকে, মুন্সিগঞ্জে কয়েক দফা সংঘর্ষে ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও ১০ কিলোমিটার ছুটেছে যাত্রীবাহী বাস। কারো প্রাণের পরোয়া করেনি চালক।
শুক্রবার মধ্যরাত। পিকআপে চেপে কাজ শেষে ফিরছিলেন ১৭ ইটভাটা শ্রমিক। এসময় উল্টো দিক থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে হয় সংঘর্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৪ পিকআপ আরোহীর। হয়নি বাড়ি ফেরা।
নিহত হাফিজুর, রহিম, মোস্তাকিমা ও আয়েশার বাড়ি বানিয়াচঙ্গের নানা এলাকায়। পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাদের মরদেহ নেওয়া হয় থানায়। আর আহতদের নেওয়া হয় হাসপাতালে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি এ টি এম মাহমুদুল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাখরনগর নামক স্থানে ট্রাক ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে চারজন মারা যায়। বাসা বাড়ি পরিবর্তন করার জন্য তারা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাদের বাড়ি বানিয়াচঙ্গ।
চুয়াডাঙ্গার নয়মাইল বাজারে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে চাপা দিয়েছে বাস। এতে সেখানেই মৃত্যু হয় ভ্যানের চালক ও এক আরোহীর।
নিহতের ভাইয়ের ছেলে বলেন, ‘আমার চাচা চালের ব্যবসা করেন। তিনি যাচ্ছিলেন বাজারে। যাওয়ার পথে নয়মাইল বাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন।’
সিরাজগঞ্জের নয়ানগাঁতীতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে মাইক্রোবাসের। তাতে প্রাণ গেছে মাইক্রোর চালক ওক যাত্রীর। আহত বেশ কজন।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কার পর প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বরিশাল এক্সপ্রেসের। এতে বাসটির ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরোয়া করেননি যাত্রীর প্রাণের।
মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ দেওয়ান আজাদ বলেন, ‘এই ঘটনায় বাসের ছাদ ভেঙে পড়েছে। এতে বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। এ ঘটনায় কেউ আহত বা নিহত হয়নি। আমরা দ্রুত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’
পরে এতে আহত ২০ যাত্রীকে উদ্ধার করেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। সহকারীসহ পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত চালক।