প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৩১ এএমআপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১০ এএম
একদিকে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব অন্যদিকে বেঁচে থাকার লড়াই। এই দুয়ের মাঝে গত বছর দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারেনি রাখাইন থেকে পালিয়ে নির্যাতনের শিকার হিন্দু রোহিঙ্গারা। তাই এ বছর উখিয়ার কুতুপালং এ বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গোৎসব। পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে জেলা প্রশাসক।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাখাইনে সেনা অভিযানের নামে হত্যা ধর্ষণের মত নির্যাতন চালায় মিয়ানমার সেনা বাহিনী। সেসময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সেসময় বেশিরভাগ মুসলিম হলেও বাংলাদেশে আসে শতাধিক হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারও।
গত বছর বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ বঞ্চিত হয় দুর্গোৎসব থেকে। এবার নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গাদের পূর্জা উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পূজা উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়া হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
এক মহিলা বাসিন্দা বলেন, আমার বেশী আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকারকে। বার্মায় আমরা কখনও পূজা করতে পারিনি। এই রকম পূজা আমরা বার্মায় দেখিনি।
এক পুরুষ বাসিন্দা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরও আশ্রয় দিয়েছে। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রথমে যখন বাংলাদেশে এসেছি তখনও আমাদেও দূর্গা পুজা ছিল। সেটা আমরা করতে পারেনি। বার্মায় আমরা কখনও দূর্গা পূর্জা পালন করতে পারিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূজা উপলক্ষ্যে দমশী পর্যন্ত সবধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
উখিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন শর্মা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে পুজা উদযাপন করে রোহিঙ্গারাও সেভাবে এখানে পূজা করছে। পূজার মধ্যে প্রতিমা থেকে শুরু করে আরতি, বাজনা, ঢোলি, বিভিন্ন প্রতিযোগীতাসহ দশমী পর্যন্ত যা যা করতে হয় আমরা সব করছি। বিজর্সনের ব্যাপারে আমরা ট্রাকও ঠিক করে রেখেছি, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সাগরে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সে সাথে সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলেদাভাবে অবস্থান করছে ১০১ টি পরিবারের ৪১৮ জন ।
জামালপুরের মাদারগঞ্জে শুরু হয়েছে গ্যাসের অনুসন্ধান। গ্যাসের উপস্থিতি নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী বাপেক্স। প্রত্যাশা অনুযায়ী গ্যাস মিললে এ কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। এখান...
আজকের দিনটি প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার। তার সাথে সময় কাটানোর দিন। এই জড়িয়ে ধরার মাধ্যমে প্রকাশ পাবে তার প্রতি আপনার প্রেম, সহানুভূতি এবং যত্নের বিষয়টি। প্রিয়জনের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এমন...
ক্রীড়া সাংবাদিক ও উপস্থাপিকা সানজানা গানেশানের (জাসপ্রীত বুমরার স্ত্রী) সঙ্গে আলাপকালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে পন্টিং বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার মনে হয়, ওরা (চ্যাম্পিয়নস...
হিন্দু রোহিঙ্গাদের জন্য দুর্গোৎসবের আয়োজন
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাখাইনে সেনা অভিযানের নামে হত্যা ধর্ষণের মত নির্যাতন চালায় মিয়ানমার সেনা বাহিনী। সেসময় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সেসময় বেশিরভাগ মুসলিম হলেও বাংলাদেশে আসে শতাধিক হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারও।
গত বছর বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ বঞ্চিত হয় দুর্গোৎসব থেকে। এবার নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গাদের পূর্জা উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পূজা উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়া হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
এক মহিলা বাসিন্দা বলেন, আমার বেশী আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকারকে। বার্মায় আমরা কখনও পূজা করতে পারিনি। এই রকম পূজা আমরা বার্মায় দেখিনি।
এক পুরুষ বাসিন্দা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরও আশ্রয় দিয়েছে। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রথমে যখন বাংলাদেশে এসেছি তখনও আমাদেও দূর্গা পুজা ছিল। সেটা আমরা করতে পারেনি। বার্মায় আমরা কখনও দূর্গা পূর্জা পালন করতে পারিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূজা উপলক্ষ্যে দমশী পর্যন্ত সবধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ।
উখিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন শর্মা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে পুজা উদযাপন করে রোহিঙ্গারাও সেভাবে এখানে পূজা করছে। পূজার মধ্যে প্রতিমা থেকে শুরু করে আরতি, বাজনা, ঢোলি, বিভিন্ন প্রতিযোগীতাসহ দশমী পর্যন্ত যা যা করতে হয় আমরা সব করছি। বিজর্সনের ব্যাপারে আমরা ট্রাকও ঠিক করে রেখেছি, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সাগরে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সে সাথে সরকারিভাবে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলেদাভাবে অবস্থান করছে ১০১ টি পরিবারের ৪১৮ জন ।
/এম-আই/