চাল না পেয়ে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা

প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে বাকি আর মাত্র ২ দিন। অথচ এখনো সরকারি প্রণোদনার চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন জেলার জেলেরা। সময়মতো চাল না পেয়ে এনজিওর কিস্তি শোধের তাড়নায় বাধ্য হয়ে অনেক জেলেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করছে।

প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল ২ মাস এবং অক্টোবরের ৩ সপ্তাহ ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসময় ২০ কেজি করে চাল প্রণোদনা দেয় সরকার। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই এ প্রণোদনা পৌঁছানোর কথা জেলেদের হাতে।


তবে, ভোলায় চাল বিতরণ শুরুই হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ১০ থেকে ১২ দিন পর। অনেক জায়গায় এখনো পৌঁছায়নি চাল। যার ফলে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরছেন অনেক জেলেই।

সরকারি চাল ও অনুদান না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন পিরোজপুরের জেলেরাও। এনজিও'র কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে তাই ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। তবে, দু-একদিনের মধ্যেই পুরো জেলায় চাল বিতরণ শেষ করার কথা জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরও কুড়িগ্রামে ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে কুড়িগ্রামকে ইলিশ জোন ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত জেলেরা কোন ধরনের সহায়তা পাননি বলে স্বীকার করলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগ সফল করতে হলে জেলেদের কাছে প্রণোদনা ঠিকমতো পৌঁছে দেয়া জরুরী বলে মনে করছেন সংশ্লিস্টরা।

/এন-এইচ/