অর্থ সংকটে মিল বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা শ্রমিকরা

দীর্ঘ বিরতির পর চালু হলেও মাত্র দুই বছর পরই আবারো বন্ধ হয়ে গেছে মাগুরা টেক্সটাইল মিল। মূলত অর্থ সংকটের কারণে তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান, কারখানাটি সচল রাখতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিটিএমসি কর্তৃপক্ষ। ভাড়া নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান পেলে শিগগিরই কারখানাটি আবারো চালুর আশ্বাস দিয়েছে বিটিএমসি। জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন কর্মরত শ্রমিকরা।

মাগুরা টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন দুই সন্তানের জননী মনিরা বেগম। স্বামী না থাকলেও, বেতনের টাকা দিয়ে ভালোভাবেই চলছিল দুই সন্তানের পড়ালেখা।

জুনের মাঝামাঝি কারখানাটি বন্ধ হওয়ার আগে সক্রিয় ছিলেন প্রায় দেড়'শ শ্রমিক, যার অর্ধেকই নারী। আবার কবে কারখানা চালু হয় সে আশায় বেকার বসে থেকে বিপাকে পড়েছেন পুরুষ শ্রমিকরাও।

ভাড়ায় সুতা তৈরির কারখানাটি ২০০৮ সাল থেকে প্রায় দশ বছর বন্ধ ছিল। দুই বছরের চুক্তিতে ২০১৭ সালের মার্চে কারখানাটি আবারো চালু করে আলী ট্রেডার্স। তবে, অর্থাভাবে মেয়াদ শেষের আগেই কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি। উন্নত প্রযুক্তির মেশিন ও গ্যাস সরবরাহ না থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপির মাধ্যমে যে ১৬টি বস্ত্রকল পরিচালনার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার মধ্যে মাগুরা টেক্সটাইল মিলও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিএমসি। পাশাপাশি নতুন কোন প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে তাদের কাছে কারখানাটি ভাড়া দিতে আগ্রহী বিটিএমসি।

১৯৮৫ সালে চালুর পর লোকসানের কারণে ১৯৯৯ সালে বন্ধ হয়ে যায় মাগুরা টেক্সটাইল মিল। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে দুদফায় ৪ বছর চালু থাকলেও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেনি কারখানাটি।

/এ এইচ/