এখনো করোনামুক্ত খাসিয়াপল্লীর মানুষ

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করলেও এখনো সংক্রমণ মুক্ত মৌলভীবাজারের খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। খাসিপুঞ্জিতে বাইরের মানুষের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কোভিডের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান আদিবাসী ফোরামের নেতারা। করোনা রোধে তাদের ব্যবস্থাপনা সবার জন্য অনুকরণীয় বলছে, স্থানীয় প্রশাসন।

দেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সংক্রমণ মুক্ত মৌলভীবাজারের খাসিপুঞ্জির মানুষ। কারণ করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকেই খাসি সম্প্রদায় নিজস্ব ভাবে বিধি-নিষেধ আরোপ করে। পাহাড়ি টিলাবেষ্টিত এলাকায় তারা বসবাস করায় খাসিপুঞ্জিতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা কম। তারপরও করোনাকাল শুরু পর থেকেই পুঞ্জিতে বাইরের মানুষের চলাফেরা বন্ধ করে দেয় খাসি নেতারা। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন না হলে এখনও বাইরে বের হন না কেউ। নিত্যপণ্য কেনার জন্য রাখা হয়েছে নির্ধারিত লোকও।

আদিবাসী ফোরামের নেতারা জানান, করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লকডাউন মানা; আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গ্রামের প্রবেশপথে রাখা হয়েছে হাতধোয়ার ব্যবস্থা। বাগানের উৎপাদিত পান নিয়ম মেনে বেচাকেনা হচ্ছে নির্ধারিত স্থানে। আর এসব নিয়ম পালনেই সুফল মিলেছে।

করোনার সংক্রামণ রোধে খাসিদের সচেতনতা ও ব্যবস্থাপনা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বলে জানান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

মৌলভীবাজারের ৬৫টি খাসিপুঞ্জির প্রায় ৩০ হাজার জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। বর্ণিল সংস্কৃতির এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশের জীবিকা পান চাষের ওপর নির্ভরশীল।

/এইচ.এ/