প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১২:৫০ পিএমআপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৭:১৯ পিএম
ফাইল ছবি
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল ডিবি উত্তরের ওসি হেলাল উদ্দিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে যাত্রীদের ছিনিয়ে নেয়া তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পরে বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে। এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে এবং ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ঢিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার এই নারী পরে বর্ণনা দিয়েছেন, ৪ জন মিলে হাত-পা বেঁধে তার ওপর যে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় সেই ঘটনার।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, বাসটি ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। পরে দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। সিরাজগঞ্জ রোড থেকে ৪ জন যাত্রী ওঠেন। কিছু দূরে গিয়ে আরো তিনজন ওঠেন। তারপরে কড্ডার মোড় থেকে আরো তিনজন বাসে ওঠেন। তখন সবাই প্রায় ঘুমে।
তিনি জানান, বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে একে একে সব যাত্রীকে বেঁধে ফেলে। প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে চালককেও জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তখন গ্রেপ্তার রাজা মিয়া বাসের চালককে উঠিয়ে নিজে নিয়ন্ত্রণ নেন। তারা সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গহনা লুট করে নেয়। তারপর পেছনে বসা এক নারীকে ডাকাত দলের ছয় সদস্য ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় যাত্রীদের সন্দেহের তীর বাসের সুপারভাইজার রাব্বীর দিকে। মাঝ রাস্তায় তার কথায়ই বাস থামান চালক মনির।
ঘটনার পর মধুপুরে বাস ফেলে তারা পালিয়ে গেলে যাত্রীদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এক নৈশ প্রহরী জানিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই গায়ে ছিল পোশাক, হাত আর চোখ-মুখ ছিল বাধা।
চালক মনির ও সুপারভাইজার রাব্বীর কল লিস্টে সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ। তবে তারা বা যাত্রীদের কেউ ডাকাতি-ধর্ষণে অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা রাজা মিয়া নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশকে জানিয়েছে, নাম বলেছে ঘটনায় জড়িত অন্তত ৮ থেকে ১০ জনের।
মব পুরোপুরি বন্ধ না হলেও আগের চেয়ে কমেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন যেন না ঘটে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম প্রকাশ আমিনকে (১৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে...
বাংলাদেশের জন্য দুই কিস্তিতে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একইসঙ্গে, দুই কর্মসূচির চলমান ঋণচুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ...
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চোর সন্দেহে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের চর তেলিজান গ্রামে এই ঘটনা হয়। সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ...
চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার আরো ২
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে যাত্রীদের ছিনিয়ে নেয়া তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পরে বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে। এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে এবং ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ঢিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার এই নারী পরে বর্ণনা দিয়েছেন, ৪ জন মিলে হাত-পা বেঁধে তার ওপর যে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় সেই ঘটনার।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, বাসটি ২৪ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। পরে দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। সিরাজগঞ্জ রোড থেকে ৪ জন যাত্রী ওঠেন। কিছু দূরে গিয়ে আরো তিনজন ওঠেন। তারপরে কড্ডার মোড় থেকে আরো তিনজন বাসে ওঠেন। তখন সবাই প্রায় ঘুমে।
তিনি জানান, বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে একে একে সব যাত্রীকে বেঁধে ফেলে। প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে চালককেও জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তখন গ্রেপ্তার রাজা মিয়া বাসের চালককে উঠিয়ে নিজে নিয়ন্ত্রণ নেন। তারা সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গহনা লুট করে নেয়। তারপর পেছনে বসা এক নারীকে ডাকাত দলের ছয় সদস্য ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় যাত্রীদের সন্দেহের তীর বাসের সুপারভাইজার রাব্বীর দিকে। মাঝ রাস্তায় তার কথায়ই বাস থামান চালক মনির।
ঘটনার পর মধুপুরে বাস ফেলে তারা পালিয়ে গেলে যাত্রীদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এক নৈশ প্রহরী জানিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগেরই গায়ে ছিল পোশাক, হাত আর চোখ-মুখ ছিল বাধা।
চালক মনির ও সুপারভাইজার রাব্বীর কল লিস্টে সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ। তবে তারা বা যাত্রীদের কেউ ডাকাতি-ধর্ষণে অভিযুক্তদের সঙ্গে জড়িত কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিমান্ডে থাকা রাজা মিয়া নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশকে জানিয়েছে, নাম বলেছে ঘটনায় জড়িত অন্তত ৮ থেকে ১০ জনের।
/এম.এস