বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে বাতাস। নদী উত্তাল থাকায় সকল রুটের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জেলার ঢালচর, কলাতলীরচর, কাজীরচর, চর নিজাম ও চর জহিরুদ্দীনসহ নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
মনপুরা উপজেলার কাজীর চরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাজীরচরসহ বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে প্রয়োজনীয় মাটির কিল্লা না থাকায় গবাদিপশুগুলো চরম বিপাকে পড়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা বলেন, ‘তজুমুদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ঝড়ের মধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সংস্কার করা হয়েছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।’
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কাবস্থা ও সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ৮৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১৩ হাজার ৮ শত স্বেচ্ছাসেবক ও ৯৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন হলে যাতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনা যায় সে জন্য পর্যাপ্ত নৌযান এবং কোস্ট গার্ডকে প্রস্তুত রাখাসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীও মজুদ রয়েছে।’