ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের ভাগ্নে কাজী জাদিদ-আল-রহমান (জনি)। দলের নির্দেশে সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের এই চেয়ারম্যান। তবে এমপির আপন ভাতিজা ছয়ফুল্লাহ কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছেন।
আগামী ২৯ মে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। মনোনয়ন দাখিল শেষ ২ মে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের ভাগ্নে জনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জনির নাম ছিল শীর্ষস্থানে। নির্বাচন করলে নানা বিবেচনায় তাঁরই জয় হতো– এমনটাই দাবি সমর্থকদের। মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না– দলের এই সিদ্ধান্তে থমকে দাঁড়িয়েছেন জনি। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোষ্টে জনি বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ও মামা ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। একইসঙ্গে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সকল সহযোদ্ধাদের পাশে থেকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ এবং অপরিসীম কৃতজ্ঞতা।’
এদিকে কাজী জাদিদ-আল-রহমান (জনি) নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেও সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামের ভাতিজা ছয়ফুল্লাহ কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছেন।