চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহতের ঘটনা কিশোর অপরাধ চক্রে পরিবারের নজরদারির অভাবে হয়েছে বলে মনে করে পুলিশ। তরুণ খুনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোরে বাসা থেকে সৈকতে গিয়ে মোটরসাইকেলে রেসিং করা সুস্থ মানুষ ও সুস্থ পরিবারের সন্তানের কাজ নয়।’
গতকাল রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মোটরসাইকেলের সাইলেন্সারের পাইপের শব্দ করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় ছুরিকাঘাতে মনিরুজ্জামান রাফি নামে এক যুবক খুন হন। এ ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন মো. রায়হান নামে আরও একজন। পুলিশ এই ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের নিয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন চট্টগ্রামের বন্দর জোনের উপ–পুলিশ কমিশনার শাকিলা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি একেবারে তাৎক্ষণিক। মোটরসাইকেলের শব্দকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারি।’
শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘এই যে, এত ভোরে পরিবার থেকে কিশোর বা তরুণরা মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে, এটাতে তো পরিবারের গাফিলতি আছে। এই তরুণরাই কিশোর গ্যাং বানাচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে উভয় গ্রুপই পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঘুরতে যায়। একপর্যায়ে সৈকতের গোলচত্বর এলাকায় মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপে শব্দ করাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধান হলেও একপক্ষ প্রতিশোধের অপেক্ষায় টানেলের মুখে অবস্থান নেয়। পরে আবারও তাদের মধ্যে মারামারি হয় এবং ছুরিকাঘাত করলে রাফি ও রায়হান গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাফিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।