কুমিল্লার বরুড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক মায়ের বিরুদ্ধে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা আক্তার (১৪) ওই গ্রামের পশ্চিমপাড়া হাওলাদার বাড়ির জুলহাস মিয়া ও খুরশিদা বেগম দম্পতির সন্তান এবং স্থানীয় নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুরশিদা মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ সকালে হঠাৎ তাঁর মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গিয়ে দেখে বাড়িতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খাদিজা। তাঁর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুড়ালের কোপের চিহ্ন দেখা গেছে। কুড়ালও পড়ে ছিল পাশে। এ ঘটনার পর জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই পড়ে ছিলেন অভিযুক্ত মা খুরশিদা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে যতটুকু জানলাম ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনিই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘খাদিজা আক্তারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যেভাবে অভিযোগ করা হবে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘জানা গেছে, মা খুরশিদা দীর্ঘ দুই বছর যাবতই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। গত দু মাস আগেও তাঁকে মানসিক চিকিৎসক দেখানো হয়েছে।’ যোগ করেন ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী।