ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিখোঁজের ৪দির পর মঙ্গলবার রাত অরুণ মিয়া নামের এক বৃদ্ধের ১১ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন সদরের এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ব্রিফিংয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অরুণ মিয়ার ছেলে লুৎফুর কবির বাঞ্ছারামপুর থানায় এসে জানান, তাঁর বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে অবহিত করে থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পরে মঙ্গলবার রাতে অরুণ মিয়ার ঘর সংলগ্ন প্রবাসী মনির মিয়ার বিল্ডিংয়ের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে ৯টি পলিথিনে মোড়ানো অরুণ মিয়ার ১১ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় নিহত অরুণ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন আরও বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে অরুণ মিয়াকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ টুকরো টুকরো করে পলিথিনে ভরে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়।’
‘নিহতের ছেলে লুৎফুল কবির রুবেল আজ সকালে গ্রেপ্তারকৃত মা ও বোন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।’ যোগ করেন জেলা পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।