আজ বুধবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একই সময়ে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। একই স্থানে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত সোমবার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হন।
এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঞ্ছারামপুর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. আবুল মনসুর বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠ ও তৎসংলগ্ন খালি জায়গাসহ পৌর এলাকা এর আওতায় রাখা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির একটি অংশের সম্মেলন উজানচরের রাধানগর গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। তবে সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তাঁর পরিবর্তে পরে প্রধান অতিথি করা হয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়াকে।
এদিকে সম্মেলন যাতে সফল না হয় এ জন্য উজানচর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় সকাল থেকে বাঞ্ছারামপুর-হোমনা সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন সাবেক এমপি আবদুল খালেকের নেতৃত্বাধীন বিএনপির অপর অংশের নেতা-কর্মীরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া বিক্ষুব্ধরা একটি মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করে। সম্মেলনে যেতে বাধা দেওয়া হয় সাংবাদিকদের।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কাউকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।