নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে সড়কের ওপর ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই নারীর শ্বশুরও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকায় বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ লিটন বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ওই নারীর নাম শাহনাজ বেগম পিংকি (৩৫)। তিনি হাজীপুরের কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে এলাকার ডিস ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম খালেদ (৩০) শাহনাজ বেগমের স্বামী কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম থেকে ডিসের ব্যবসার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ধার নেন। শর্ত ছিল ডিস ব্যবসার আয় তাদেরকেও দেওয়া হবে। শর্ত অনুযায়ী কয়েক বছর টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে টাকা না পাওয়ায় এনিয়ে আদালতে মামলা করেন শাহনাজ বেগম। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকার সালিশি বৈঠকও হয়।
মঙ্গলবার ১১টার দিকে বাড়ি থেকে শ্বশুর রেজাউল হকের সাথে নিয়ে চৌমুহনীতে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন শাহনাজ। এ সময় চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে সাইফুল ইসলাম খালেদ তাদের গতিরোধ করে। সেখানে বাগ-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে পিংকিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় শাহনাজের শ্বশুর রেজাউল হোসনকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে চৌমুহনীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহনাজকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু তালেব বলেন, ‘পিংকিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে নিহতের স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে যান।’
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ লিটন বড়ুয়া জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।