ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন আবারও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আগামীকাল শনিবারের পূর্ব ঘোষিত এই সম্মেলন হচ্ছে না। সদর উপজেলার বিরাশার এলাকায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের সদর দপ্তর সংলগ্ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তারিখ করেও জেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হলো। সম্মেলন ঘিরে কয়েকদিন ধরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির রাজনীতিতে উত্তেজনা চলছে। সম্মেলন স্থগিত ঘোষণার পর এ নিয়ে কথা বলতে পাওয়া যায়নি জেলা বিএনপির দায়িত্বশীলদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আ জ ম মোরশেদ আল মামুন লিটন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন সাময়িক স্থগিত করার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সকল ইউনিটের ভোটারদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, পূর্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮/০১/২০২৪ ইংরেজি তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা কমিটি নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অনিবার্য কারণে উক্ত নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হল। আগামী ২০/০১/২০২৪ ইংরেজি তারিখে সম্মেলনের তারিখ পুনরায় ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল। জেলা বিএনপির একাংশের ভোটার (কাউন্সিলর) তালিকা নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তখন সম্মেলন স্থগিত করা হয়। পরে ১৮ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তালিকা নিয়ে আপত্তি লাঘব না হওয়ায় জেলা বিএনপির হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বাধীন অংশ তাদের সম্মেলন বিরোধী অবস্থান নেন। ১২ ও ১৫ জানুয়ারি জেলা শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চে দলের নেতাকর্মীদের সমাবেশ করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ছাড়া সম্মেলন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এই পক্ষের সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা এবং অন্য পক্ষের সম্মেলন করার অনঢ় ঘোষণায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
সম্মেলন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান বলেন, ‘এখানে অনেক ফ্যাক্টর জড়িত। সম্মেলন সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে সবাইকে নিয়ে করতে বৃহত্তর স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ হয়তো সম্মেলনের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করছেন।’