ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ দিনব্যাপী কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব শেষ হয়েছে। সোমবার উৎসবের শেষ দিনে ‘সোনালি কাবিন’ পদক-২০২৫ প্রদান করা হয়। প্রথমবার দেওয়া এই পদক পেয়েছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
পদক গ্রহণ করে বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা কবিতার একজন মহান কবি। যিনি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাষায় মানবজীবনসহ দেশ, সমাজ, সাহিত্য এবং জাতি সত্ত্বাকে তুলে ধরেছেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তাঁর জীবনী সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর জাতিরূপে গড়ে তুলতে এবং জাতীয় ঐক্যবোধ সৃষ্টি করতে আল মাহমুদের কবিতাকে সংরক্ষণ করতে হবে।’
এ সময় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক কবি আল মাহমুদের জীবনী রচনা ও স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তরুণ লেখকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘একজন লেখকের জীবনে নানান পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে তিনি কবি হিসেবে কেমন কবিতা লিখেছেন সেটাই বিচার্য। ত্রুটি–বিচ্যুতি সবার মধ্যেই থাকতে পারে। তবে কবি আল মাহমুদের ত্রুটি–বিচ্যুতির তুলনায় তাঁর গুণ ছিল অনেক বড়। ছোট ত্রুটি–বিচ্যুতি একজন লেখকের বড় গুণকে ম্লান করতে পারে না।’
কবির স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক সরকার, কবি মহিবুর রহিম। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্কুল মাঠে ৩ দিনব্যাপী আল মাহমুদ স্মরণোৎসব শুরু হয়। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুল মাঠে এই স্মরণোৎসবের আয়োজন করে। উৎসবে প্রতিদিন আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অর্ন্তভুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য, কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।