কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদে প্রতিপক্ষের গুলিতে সাইদুল হুদা নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক পরিবারের তিনজন গুরতর আহত হয়েছেন। নিহত পরিবারের দাবি, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গুলি করা হয়। আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ইসলামাবাদ পাহাশিয়াখালী সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুল হুদা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাইদুল হুদার বাবা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, খুশিটা বেগম, আবিদুল হুদা, আমেনা বেগম।
নিহতের স্ত্রী খুশিদা বেগম জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁর ছেলেকে মারধর করে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন। এ সময় গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন তাঁর স্বামী হাবিবুল হুদা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাবিবুল হুদাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে হাবিবুল হুদার ছেলে সাইদুল হুদা যুক্ত থাকায় চেয়ারম্যানকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহ করে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে ও ছাত্র প্রতিনিধি সাইদুল হুদা জানান, ছাত্রদের বিভিন্ন কাজে চেয়ারম্যান বাঁধা প্রদান করে। এরপর বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। সর্বশেষ তাঁর বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে হত্যার ঘটনায় পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির অভিযোগ এনে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয় ঘেরাও করে ছাত্র প্রতিনিধিরা। এ সময় তারা টায়ার জ্বালায়ে প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, বাড়ির পাশের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।