নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হেনস্তার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে স্কুলের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়।
সড়কে বিক্ষোভ করায় উপজেলার চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানায়, গত ১১ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষক স্কুল থেকে চৌমুহনী চৌরাস্তার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় ওঠেন। কিছু পথ যাওয়ার পর অটোরিকশার ভেতরে থাকা কয়েকজন পুরুষ ওই শিক্ষককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে এবং তার চোখে রাসায়নিক দ্রব্য লাগিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই নারী শিক্ষকের ব্যাগ থেকে টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়। পরে অটোরিকশাটি কলেজ গেট থেকে একলাশপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ওই একটি নির্জন স্থানে তাকে নামিয়ে দেয়। এর আগে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গেও একই রকম ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অংশ নেন। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ‘এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন চলাকালে কিছু সময় চৌমুহনী-মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। এ ঘটনায় আগেই থানায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’