নোয়াখালী সদর উপজেলায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে জেলা শহর মাইজদীতে পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে র্যাব, পুলিশের যৌথ দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম মামুন সদর উপজেলার মধ্যম করিমপুরের প্রয়াত তাজুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত অটোরিকশার চালকের নাম মো. বাবর হোসেন (১৮)। তিনি মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
আজ দুপুরে তাঁকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। অপরাধ স্বীকার করে তিনি আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেট খাল সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পাশ থেকে বাবর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বাবরের স্বজন ও এলাকাবাসী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ।
সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম মামুন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আসামির স্বীকারোক্তিরে বরাত দিয়ে ওসি জানান, আসামি মামুন তাঁর পরিচিত কয়েকজন লোক থেকে নেওয়া ৪৫ হাজার টাকা ধার করেন। এর পরিবর্তে পাওনাদাররা তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। মামুন তাঁর পরিচিত বাবরকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবরকে দত্তেরহাট এনে জুসের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে নির্জন বাগানে নিয়ে যান। এরপর অটোরিকশাটি সেখানে রেখে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো দুর্বল বাবরকে প্রথমে সোনাপুর নিয়ে যান মামুন। পরে সিএনজিচালিত অন্য একটি অটোরিকশায় পূর্ব চর উরিয়া গ্রামে সুইসগেট সংলগ্ন নির্জন সবজি বাগানে নিয়ে তার গায়ের লিলেনের গেঞ্জি দিয়ে গলা ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ সময় বাবরের পায়ে দেওয়া স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যায় ব্যবহৃত গেঞ্জিটি পাশে কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যান মামুন।
নিহত বাবরের খোয়া-যাওয়া অটোরিকশা, তার ব্যবহৃত স্যান্ডেল ও অপরাপর সহযোগী আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।