চট্টগ্রামে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুনের ঘটনায় দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় চামড়া গুদামের সামনে এই ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা চালকের দাবি, তাঁর গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে।
অটোরিকশায় আগুনের ওই ঘটনায় দগ্ধ দুই নারী হলেন– রাউজান পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার লায়লা বেগম ও জানালী হাট এলাকার ঝরনা বেগম। দুজনের মধ্যে লায়লা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুরে তাকে দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ৭০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাকে বর্তমানে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রেখেছি। পরবর্তীতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে।’
দগ্ধ নারীর স্বামী আব্বাস আলী বলেন, ‘আমাদের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। আজ সকালের দিকে আমার স্ত্রী সিএনজিতে করে প্রতিবেশী কয়েকজন নারীর সঙ্গে চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া মাজার জিয়ারতের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিল। পথে চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাউজানের পরিবহন মালিক শ্রমিকরা রাস্তায় চাঁদার প্রতিবাদে টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এ সময় কে বা কারা সিএনজিতে পেট্রল বোমা ছুড়লে আগুন ধরে যায়। এতে গুরুতর দগ্ধ হয় আমার স্ত্রী। খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ দুপুরের দিকে ঢাকায় নিয়ে আসি। আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ডাক্তার।’
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রীকে ভোরে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। অটোরিকশায় করে তাঁরা ভোরে কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা লোকজন জানান, অটোরিকশায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে।