চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমা হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড এবং শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী ও শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।
হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা (২৫) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে ফাতেমা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন গাজী (৪০) জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি শাহানারা ফাতেমার গলায় চেপে ধরে। আর শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকালে বাড়ির লোকজন পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসাপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু জানান, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় দেন।