চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় ডাকাতিয়া নদী থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কয়লা ঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থী আরাফাতের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় শহরের গুনরাজদী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমে সৌম্য দ্বীপ সরকার আপন (১৭) নামে নিখোঁজ কলেজশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় আপনের মরদেহ।
মৃত দ্বীপ সরকার আপন মানিক রঞ্জন সরকারের ছেলে। তিনি পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আর আরাফাত দুলাল কাজীর ছেলে। সে পুরান বাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুর নৌ ইউনিটের টিম লিডার আলী আহম্মদ বলেন, ‘ডাকাতিয়া নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় দ্বীপ সরকার আপন নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজন আপনের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।’
এদিকে দুপুরে একইভাবে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় আরাফাত নামের আরেক স্কুল শিক্ষার্থী। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল আসে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল।
দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উভয়ের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে চাঁদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে গুনরাজদী এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নামেন আপন। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া বাল্কহেডের ঢেউয়ে তলিয়ে যান তিনি। স্থানীয়রা খবর দিলে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুরের নৌ ইউনিটের ডুবুরি দল ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। এরপর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর-ফরিদঞ্জ সেতুর পূর্ব পাশে নদীর খেয়াঘাট এলাকা থেকে আপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।