নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে স্থানীয় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানিয়েছেন, নিহত শাকিলের বাবা মো. সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের যৌথ টিম গঙ্গাবর বাজারের পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তলের সঙ্গে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। এর আগে, ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।
সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে আট থেকে নয়জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় যুবদলকর্মী ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েজন মিলে সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটুনির পর পুলিশে দেয়।
পুলিশে দেওয়া তিনজন হলেন ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন (২২)। তাদের মধ্যে দুজনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।