বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূইঁয়া বলেছেন, ‘যদি সামান্য অর্থের কাছে ভোট বিক্রি করে দেন, তাহলে দেশের এবং দলের ভবিষ্যৎ খারাপ হবে। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ছিলেন, জেল খেটেছেন, সুপারী বাগানে, নৌকায়, খড়ের পালায় ঘুমাতে হয়েছে– আপনারা তাদের ভোট দেবেন। যারা কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না ও সুবিধাভোগী তাদের ভোট দিয়েন না। তা না হলে আপনারা আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন।’ আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতায় তৃণমূল বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তাই তিনি বিনা কারণে, বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন, অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তবুও কারো কাছে মাথা নত করেননি। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। লড়াই করেছেন-সংগ্রাম করেছেন কিন্তু দেশ ছেড়ে যাননি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর দোসররা এখনো এই দেশে রয়েছে। তাদের বিচার করতে হবে। ৯ মাস পার হলেও এখনো হাসিনার দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখতে পারছি না। হাসিনার বিচার শুর করুন। তাঁর সঙ্গপাঙ্গদের বিচার শুরু করুন। দেশের মানুষ হাসিনার বিচারের অপেক্ষায় আছে।’
আবুল খায়ের ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র থেকে নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংস্কার শেষ করে দ্রত নির্বাচন দিন। নির্বাচন নিয়ে এতো ভয় কেন? গত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই তৃণমূল বিএনপির এই ভোটের মাধ্যমে বিএনপির কর্মীরা ভোট উৎসব করছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা (পশ্চিম) বিএনপির আহবায়ক আবদুল করিম ভূইঁয়া মিজান, বিএনপি নেতা অধ্যাপক নুরুল আলম বুলবুল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহাবুবুল আলম মামুন, থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জামাল উদ্দিন, চররুহিতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন চৌধুরী আরজু ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম স্বপন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফিরোজ আলম চৌধুরী সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সফি মাহমুদ মিজু ও যুবদল নেতা কামালুর রহিম মানিক।