কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ‘মব’ তৈরি করে ভিডিও ধারণ ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে কাজ করেছে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব। যোগাযোগ অ্যাপ ইমোতে মেসেজ দিয়ে ওই মব তৈরি করেন ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর আলীর ভাই শাহ পরান।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে কথা বলেন র্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
র্যাব জানায়, মুরাদনগরের ওই ঘটনায় মব তৈরি মূলহোতা শাহ পরানকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার বুড়িচং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করতেন ফজর আলী ও তার ভাই শাহ পরান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দুই মাস আগে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
র্যাব আরও জানায়, পরে সালিশে ছোট ভাই শাহ পরানকে মারধর করেন ফজর আলী। এর জেরে ২৬ জুন রাতে ফজর আলী যখন ওই নারীর ঘরে যান, তখন ইমোতে মেসেজ দিয়ে লোক জড়ো করেন শাহ পরান।
সম্প্রতি মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগীর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। মুরাদনগর থানায় এ নিয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী।