কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার এলাকায় গণপিটুনিতে মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ আসামির মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার অপরজন মামলার এজহারনামীয় ৩ নাম্বার আসামি বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।
গত ৪ জুলাই বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়িতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রোকসানা বেগম রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ পর্যন্ত এই মামলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদ নামে ২ আসামিকে আদালতের তোলা হলে আমলি আদালত ১১ এর বিচারক মমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর রোববার বিকেলে ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, মো. বায়েজ মাষ্টার, দুলাল ও আকাশকে কুমিল্লার আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৫নং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ। এদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে আদালতকে জবানবন্দি দিবেন বলে জানান। পরে আদালত তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করেন।
কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, ‘এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে এবং রোববার বিকেলে ছয়জনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত তাদের জামির না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার তিন নাম্বার আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।’