টেকনাফে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা, মাদক এবং অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় টেকনাফ থানাধীন জাদিমুরা সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এরপর গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন টেকনাফ এবং পুলিশের সমন্বয়ে ওই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালীন ডাকাত দলের সদস্যরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় আত্মরক্ষার নিমিত্তে যৌথবাহিনী ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে ডাকাত দলের সদস্যরা গহীন পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
পরে পাহাড়ের মধ্যে অবস্থানরত একটি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি জি-৩ বিদেশি রাইফেল, ১টি ৯ মিমি ও ১টি ৭.৬৫ মিমি বিদেশি পিস্তল, ৩টি একনলা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ হাজার ১০০ রাইফেলের ও ১৪ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গোলা এবং ৫ কোটি ৩ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ১ কেজি আইস ও ৪ লিটার দেশীয় মদ জব্দ এবং আপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হারুন-অর-রশীদ আরও জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্টগার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ডাকাতি রোধ অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র পাচার ও ডাকাতি রোধকল্পে ভবিষ্যতেও কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।