হত্যাসহ চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসেন।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তথ্যমতে, আসামিদের মধ্যে সিমিন রহমান চার মামলারই আসামি। যারাইফ আয়াত হোসেন হত্যাসহ দুই মামলার আসামি। শাহনাজ রহমানও দুই মামলার আসামি।
আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ঢাকা বারের সভাপতি আব্দুর রহমান রহমান, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, শাহিনুর রহমানসহ কয়েকজন। এ সময় বাদীপক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধীতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিনের আদেশ দেন।
এদিকে হত্যা মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো। তারপরও আদালত তাদের জামিন দিয়ে দিলেন। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছেলেকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে এবং ডিড অফ সেটেলমেন্ট কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে যে সমস্ত পেপারস তৈরি করা হয়েছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা জামিন পেলেন। এই জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা আদালতকে বলার চেষ্টা করেছি, মামলার সারমর্ম কিছু নেই। সমস্ত দিক বিবেচনা করে আদালত জামিন দিয়েছেন’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৬ জুন ঢাকার গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে মৃত অবস্থায় আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে এ ঘটনার প্রায় ৯ মাস পর গত ২২ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করেন ছোট বোন শাযরেহ হক। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপর আসামিরা হলেন- এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও সেলিনা সুলতানা এবং গ্রুপের কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক তিন মামলা করেন শাযরেহ হক।