ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন থানায় চারটি মামলা করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে তিন থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে পল্লবী থানায় দুটি, কাফরুল থানায় একটি ও মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর বাদী পুলিশ।
এদিকে, রোববারের পর আজ সোমবারও সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরাসহ কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশাচালকেরা। রামপুরায় সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রোববার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন চালকেরা। পরে মিরপুর ১১, মিরপুর ১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শত শত চালক বিক্ষোভে যোগ দেন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ চালকে কালশীর পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।
একজন বিক্ষুব্ধ চালক বলেন, ‘আমাদের কথা হলো, যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয় সেই গাড়িগুলো বাদ দিয়ে ভালো ব্রেকিং সিস্টেমের গাড়ি ছাড়া হোক। আমাদেরকে সেই গাড়ি যেভাবেই দেওয়া হোক, কিস্তি বা লাইসেন্সের মাধ্যমে দেওয়া হলেও আমরা নেবো।’
চালকদের বিক্ষোভে কয়েকটি বাস-মিনিবাস ভাংচুর ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। চালকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবস্থানে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।
এর আগে, গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়ানো বিপজ্জনক ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) জানায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রংচটা, জরাজীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: