উন্নয়ন কিংবা সংস্কার নয়, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণ দেখিয়ে শরীয়তপুরে ছয় মাসে দেড় হাজার গাছ কেটেছে বন বিভাগ। তবে রোপণ করা হয়নি একটি চারাও। এতে ছায়াশূন্য হয়ে পড়ছে রাস্তাসহ আশপাশের এলাকা। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা এলাকাবাসীর।
শরীয়তপুর সদর-ছয়গাঁও-ভেদরগঞ্জ সড়কের পাশে শত শত গাছ। ১৯ কিলোমিটার সড়কের পাশে ১ হাজার ৮০০ গাছ কাটার টেন্ডার দেওয়া হয়। বন বিভাগ এসব গাছের দাম নির্ধারণ করেছে ৬০ লাখ টাকা।
এরই মধ্যে রুদ্রকর-নাগেরপাড়া সড়কে কাটা হয়েছে দেড় হাজার গাছ। সড়কের গাছ ছাড়াও বন বিভাগের ভেতরে থাকা আরও ৫০টি গাছ বিক্রি করেছেন কর্মকর্তারা। অভিযোগ আছে, গাছ কাটার এমন মহোৎসব হচ্ছে ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের নির্দেশে।
স্থানীয়রা বলছেন, রুদ্রকর-নাগেরপাড়া সড়কে আগে যে কোনো সময়ে কেউ ক্লান্ত হলেই ছায়ায় এসে বসত, বিশ্রাম করত। কিন্তু এখন সব গাছ কেটে ফেলেছে বলে ছায়াশূন্য হয়ে পড়ছে রাস্তাসহ আশপাশের এলাকা। এ ছাড়া কর্মকর্তারা এখন তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের কার্যালয়ে যে বড় গাছগুলো রয়েছে সেগুলোও অবাধে কাটছেন।
ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা আল হোসাইন বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেই জায়গায় রোপণ করা হবে চারা।
শরীয়তপুরের বন কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন বলেন, চুক্তি শেষ হওয়ায় এই গাছগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। পুনরায় গাছ লাগানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, গত তিন বছরে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে।