সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে মামলা করার অনুরোধ করে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি চিঠিটি ডিএমপি কমিশনার বরাবর দেওয়া হলেও সড়কে এ নিয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
সরেজমিনে আজ বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। যাত্রীরা বলছেন, বিআরটিএ ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে উঠলেই দিতে হচ্ছে ১৫০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াসহ নানা কাজের মধ্যে নতুন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা অতিরিক্ত চাপ।
এদিকে, অটোরিকশাচালকেরা বলছেন, নীতিমালা অনুযায়ী, দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও মালিকেরা দিনে দুই বেলায় চালকের কাছ থেকে ১২০০–২০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। এতে করে বিপাকে পড়েছেন তাঁরাও।
এরআগে, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিটি ডিএমপি কমিশনারকে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, সরকার-নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী, কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবেন না।
এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে এক পয়েন্ট কর্তনের বিধানও রয়েছে।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা এবং ওয়েটিং বিল প্রতি মিনিটে দুই টাকা নির্ধারিত রয়েছে।