বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট ঢামেক মর্গে রাখা নিহত নারীসহ ৭ মরদেহের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি গুলিস্তানের কাপ্তানবাজার এলাকায় একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিহত হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে গুলিস্তান কাপ্তানবাজার এলাকার একটি দোকানে কাজ করত। গত ৫ আগস্টের পরে থেকে আমার ছেলেকে আর খুঁজে পাইনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়কের কাছে থেকে জানতে পারি, ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় অনেকগুলো লোক মারা গেছে। যাদের মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।’
মনির হোসেন আরও বলেন, ‘পরে জানুয়ারির ১ তারিখে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে আমার ছেলের পায়জামা, পাঞ্জাবি, মুখে খোঁচা দাড়ি দেখে আমার ছেলের মরদেহ শনাক্ত করি। পরে আমার ও আমার স্ত্রী গোলেনুর বেগমের ডিএনএ নমুনা দিয়ে গেলে আজ এক মাস একদিন পরে তারা আমাদের খবর দিলে মর্গে আসি ছেলের লাশ নেওয়ার জন্য।’
হাসানের জানাজার বিষয়ে বাবা মনির হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে আমরা ছেলের মরদেহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়করা শহীদ মিনারে নিয়ে প্রথম জানাজা করবে বলে জানিয়েছে। পরে আমার ছেলের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ভোলা সদরে নিয়ে গিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’