শরীয়তপুর সদরে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী (৫০), মনোয়ার কাজী (৩২), সাবেক ইউপি সদস্য বোরহান কাজী (৫০), আজিজুল সরদার (৫০), সামসুল হক সরদারের (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিকান্দি এলাকার ইমামুল হক সরদার ও আজিজুল সরদার আপন ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইমামুল হক সরদারের (এনামুল) মেয়ের বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে তিনি তাঁর ভাই আজিজুল সরদারের পরিবারকে দাওয়াত দেননি। আজিজুল সরদারের ছেলের বিয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। এই বিয়েতে এনামুল সরদারের পরিবারকেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনামুল সরদারের লোকজন আজিজুল সরদারের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
আজিজুল সরদারের পক্ষের লোক স্থানীয় ইউপি সদস্য আহত আব্দুর রহমান কাজী বলেন, ‘এনামুল তাঁর মেয়ের বিয়েতে আমাদের দাওয়াত দেয়নি। তাদের আমরা দাওয়াত দিব, তবুও তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এনামুল সরদার, খলিল মাদবরের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং আমাদের ৫ জনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে।’
তবে এনামুল সরদারের পক্ষে তাঁর ভাই আহত সামসুল হক সরদার বলেন, ‘এই ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে আমার ওপর হামলা চালনো হয়। আমার মাথায় ও হাতে জখম হয়েছে। ওই হামলায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। যেহেতু পারিবারিক ঘটনা, তাই দুই পক্ষই থানায় এসেছেন।’