আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ শেষে রাজু ভাস্কর্যের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন হল হয়ে রাজু ভাস্কর্যে শেষ হয়। পরে সেখানে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘সাঈদ-ওয়াসিম-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’ একাধিক স্লোগান দেন।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে তারা দাবি করেন, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। বক্তারা বলেন, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করতে হবে।
সমাবেশ থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঢাবি রাজু ভাস্কর্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এরআগে, বৃহস্পতিবার ড. কমফোর্ট ইরো নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ভোটের তারিখ পেছানো ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।’
এরপর থেকেই ফের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি উঠতে থাকে।
ড. ইউনূসের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ড. ইউনুস, আওয়ামী লীগ ৫ই আগস্টেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। উত্তর পাড়া ও ভারতের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ওপেন করার চেষ্টা করে লাভ নেই।’