বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ মামলা করেছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালতে তিনি এ মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ২৮ এপ্রিল আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলায় অপর আসামিরা হলেন—ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ। আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘আমি ক্লিন একটা জীবনযাপন করেছি। আসামিরা আমার ইমেজ, সম্মান, মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার জন্য মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্ভট একটা পোস্ট দিয়েছে ফেসবুকে যে, আমি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনাকে খালেদা জিয়ার সাথে জড়িয়ে এরশাদের পক্ষে কবিতা লিখেছি। যেটা আদৌ আমার লেখা না। দেখলেই বোঝা যায়, এ ধরনের থার্ড ক্লাস কবিতা আমি আদৌ লিখি না। সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের কাছে এসেছি, মামলা করেছি। সন্মান রক্ষার্থে যে লসটা সামাজিকভাবে হয়েছে এর বিচার চাই।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’ আসামি খাইরুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা।’
এরপর আসাদুজ্জামান আসাদও তাঁর ফেসবুক থেকে কবিতাটি পোস্ট করেন। তাঁর পোস্ট তিনি লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।