ঈদযাত্রার শুরু থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার রাতে যমুনা সেতুর ওপর একাধিক দুর্ঘটনা ও বিকল এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যমুনা সেতু পূর্ব পাড় থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আজ রোববার সকাল থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।
অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে মধ্যরাতে ও রোববার সকালে যমুনা সেতুর ঢাকাগামী লেন বন্ধ করে একযোগে ৪ লেন দিয়ে উত্তরগামী যানবাহন পারাপার করছে সেতু কর্তপক্ষ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল পাভেল বলেন, রাতে সেতুর ওপর তিনটি দুর্ঘটনা হয়েছে। দুটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। পরে এসব গাড়ি সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে রাতে ও সকালে দুই দফায় ঢাকাগামী যানবাহনগুলো সিরাজগঞ্জ প্রান্তে আটকে সেতু দিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার করা হয়। এতে সকাল ৮টা নাগাদ যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরীফ হোসেন জানিয়েছেন, সেতুর ওপর দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে সময় লাগায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট নিরসন হয়ে যাবে।
এদিকে, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।