প্রায় তিন বছর আগে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার আগে আনোয়ার হোসেনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন নোয়াখালীর চাটখিল থানার পূর্ব শোনাখালী শোন উদ্দিন বেপারী বাড়ির মৃত হোসেনের ছেলে। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ সাজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, ভুক্তভোগীর মাকে তালাক দেন তার বাবা। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আনোয়ার হোসেনকে। দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন ভুক্তভোগীর মা। আনোয়ার হোসেন একা সংসার চালাতে পারছিলেন না। পরে ঢাকায় এসে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর তাঁর দ্বিতীয় সংসারে ছেলের জন্ম হয়। তাকে দেখাশোনার কেউ ছিল না। ফলে আনোয়ার হোসেনের সাথে আলাপ করে ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন তার মা। হঠাৎ ভুক্তভোগীর মাকে আনোয়ার হোসেন জানিয়ে দেন সংসারের খরচ দিতে পারবে না। সন্তানদের কথা চিন্তা করে আনোয়ার হোসেনকে ২০২২ সালেন ১৬ সেপ্টেম্বর তালাক দেন ভুক্তভোগীর মা। ৪ আগস্ট বাসায় এসে আনোয়ার হোসেন ভয় দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী তার মাকে জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ২০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।