ঢাকা–মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে দুর্ঘটনায় একটি বাসের ছাদ উড়ে গেছে। তবে চালক না থামিয়ে ছাদহীন অবস্থায় বাসটি চালিয়ে নিয়ে যায় আরও অন্তত ১০ কিলোমিটার। পরে বাসযাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকারে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় বাসটি আটক করে স্থানীয়রা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বাসটির অন্তত ২০ জন যাত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর দেড় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাসটির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে।
বাসযাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর এলাকায় প্রথমে মাইক্রোবাস তারপর একটি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় অপর একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যাত্রীবাহী বাসটির। এতে বাসটির ছাদ উড়ে পড়ে এক্সপ্রেসওয়েতে। এতেও চালক বাস না থামিয়ে চলে যায় ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় আভ্যন্তরীন সড়কে। পরে আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকারে ছাদবিহীন বাসটি আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
যাত্রীরা বলেন, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন বাসটি চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহিন নামের এক যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।