গাজীপুরের গাছা থানার হারিকেন এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পোশাক শ্রমিক হারিস মিয়া (৫০) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
বিষয়টি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে পোশাক শ্রমিক হারিস মিয়ার শরীরে ৮৮ শতাংশ দগ্ধ, তাঁর স্ত্রী পোশাক শ্রমিক আয়েশা আক্তারের শরীরে ৯০ শতাংশ ও তাদের ছেলে মইনুল ইসলামের শরীরে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদেরকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে আজ ভোরের দিকে চিকিৎসাধীন মারা যান হারিস মিয়া। দগ্ধের পরিমাণ বেশি থাকায় অন্য দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালের দিকে গাজীপুরের গাছা থানার হারিকেন এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের স্বামী- স্ত্রী ও তাঁদের একমাত্র সন্তানসহ তিনজন দগ্ধ হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজ সকালের দিকে মারা যান হারিস মিয়া। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হারিস মিয়ার স্ত্রী ও তাঁর সন্তানের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।