রাজনৈতিক দলগুলোর নানা মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদ রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়, এক আলোচনায়। নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংস্কৃতিক বিকাশ ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার তাগিদ দেন বক্তারা।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নতুন বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বিকাশ নিয়ে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনাসভার আয়োজন করে ইমাজিনেক্সট ফাউন্ডেশন। এতে অংশ নেন সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিবিদ ও চিন্তাবিদেরা।
বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশকে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে সংস্কৃতির বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ-বলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গঠন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘মানুষ জানে যে এই লোকগুলো সৎভাবে কাজ করে, পরিশ্রমী, নিজের দেশকে ভালোবাসে এটাও কিন্তু আমাদের সংস্কৃতির উপাদান। এ বিষয়গুলো আমি আমার কূটনৈতিক অঙ্গনে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। এগুলো নিয়ে আসা দরকার। যদি সেই প্রেক্ষাপট পাই তাহলে বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে সংযুক্ত হয়ে আমার পরিচিতিটাকে বাইরে বলিষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারব।’
ধর্ম ও সেকুলারিজম নিয়ে খেলা চলছে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে একতা ধরে রাখার তাগিদ দেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা আমাদের সঙ্গে বিরোধীতা থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক কমিউনিটির মধ্যে জাতীয় বিতর্কের উর্ধ্বে নিয়ে যাব না।’
নতুন বাংলাদেশ গঠনে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলায় জোর দেন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার।
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা কিন্তু গণঅভ্যুত্থান হয়েছি, বিপ্লব কিন্তু হয় নাই। ফলে এখানকার যে লড়াই সেটা হবে সাংস্কৃতিক লড়াই। এটা হবে অপূর্ণ যেটা আমরা করতে পারিনি, এটা সম্পূর্ণ করার লড়াই। ফলে সাংস্কৃতিক যে লড়াই সংগ্রামটা তার মধ্যে থাকবে আগামীদিনে বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হব।’
এসময় দেশে বিনিয়োগকারী বিদেশি কোম্পানিগুলো যাতে পরিবেশ নষ্টের কারণ না হয় সেজন্য নীতিমালা করার আহ্বান জানান ফরহাদ মজহার।