গাজীপুরের গাছা থানার হারিকেন এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবার মৃত্যুর চার দিন পর দগ্ধ মইনুল ইসলাম (১২) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার দগ্ধ অবস্থায় মারা যায় মইনুলের বাবা গার্মেন্টস শ্রমিক হারিস মিয়া।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মইনুল।
বিষয়টি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার গাজীপুর থেকে পোশাক শ্রমিক হারিস মিয়ার শরীরে ৮৮ শতাংশ দগ্ধ, তাঁর স্ত্রী পোশাক শ্রমিক আয়েশা আক্তারের শরীরে ৯০ শতাংশ ও তাদের ছেলে মইনুল ইসলামের শরীরে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদেরকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে আজ দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মইনুল। এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই। দগ্ধের পরিমাণ বেশি থাকায় আয়েশা আক্তারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গত মঙ্গলবার সকালের দিকে গাজীপুরের গাছা থানার হারিকেন এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের স্বামী- স্ত্রী ও তাঁদের একমাত্র সন্তানসহ তিনজন দগ্ধ হয়। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আজ দুপুরের দিকে মারা যান মইনুল। তার মা আয়েশা আক্তার বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।