খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে মধ্যরাতে শাহবাগ অবরোধ করেছে একদল শিক্ষার্থী। ‘কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেড’ নামের এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার রাতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এই অবরোধে অংশ নয়। এতে মধ্যরাতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশে, বুধবার দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিকী অনশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল ৩টায় রাজুতে ভাস্কর্য পাদদেশে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। মঙ্গলবার রাতে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মহির আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে এবং কুয়েটের ভিসি মাসুদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই অনশন কর্মসূচি পালিত হবে।
এদিকে, কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগ ও ইউজিসির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় এ ঘটনায়। এছাড়াও আগামী ৫ মে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু ও ২ মে হল চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ছাত্ররা ১৬ এপ্রিল হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করে। ২০ এপ্রিল তারা ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়ে একদফা দাবিতে অনশনের ডাক দেয়।