চলমান পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একত্রিত করা অসম্মানজনক এবং অপ্রাসঙ্গিক দাবি করেছেন গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুয়েট ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এসব দাবি করেন ডুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহজালাল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষায়িত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের সমমর্যাদায় আসার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে শিক্ষাগত, পেশাগত ও কাঠামোগত পার্থক্য রয়েছে, তাই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একত্রিত করা অপ্রাসঙ্গিক।
এ জন্য শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেড-এ সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি সকল পদোন্নতির ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রাখতে হবে। ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) এর সদস্যপদ ব্যতীত কারো নামের আগে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করা যাবে না।
প্রকৌশল ক্যাডার ও সাধারণ ক্যাডারের বৈষম্য দূরীকরণ করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টের প্রকল্প মনিটরিং এর নামে নন-টেকনিক্যাল ব্যক্তিদের খবরদারি বন্ধ করতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক, তাই তাঁরা তাদের কর্তৃক উত্থাপিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানান। তারা চান, দেশের প্রকৌশল খাত সমৃদ্ধ হোক এবং সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাক।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়-এমন যেকোনো কর্মসূচি এড়িয়ে চলারও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় ডুয়েট শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সিফাত, হাবিবুর রহমান, মাহতাব হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
