ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বেসরকারি আইসিইউতে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনগত রাতে দালালচক্রের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জড়িত অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলে টনক নড়ে ছাত্র সংগঠনটির।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অধীনস্থ ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনকে তার সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’
প্রসঙ্গত, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মেডিকেলের দালাল শাহাদাত হোসাইন (নাঈম) ও আব্দুল্লাহ আল মাহিম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের ছাত্রদলের কর্মী শাহাদাত শ্যামলীর সিটি কেয়ার হাসপাতালের ব্যবসায়িক পার্টনার। তিনি রোগী ভাগিয়ে নিয়ে শ্যামলীর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে রোগী দেন। আর আব্দুল্লাহ রোগী পাঠান শ্যামলী সিটি কেয়ার হাসপাতালে।
শাহাদাতের গ্রুপে রয়েছে- নোমান,সবুজ, আবির, জাহিদ, নাঈম ও রাজ্জাক ছাড়াও আরও অনেকে। আব্দুল্লাহর গ্রুপের রয়েছে– রুবেল, লিমন, শামীম, রাকিব, নাহিদ, সিরাজ ও রাফি। প্রায়ই বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা হয়।