ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার, বাসস্ট্যান্ড দখল ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৃথক দুই স্থানে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ৫টি খড় ও পাটকাঠির গাদিসহ ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুকুরিয়া এলাকা থেকে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর পক্ষের সুলতান মাতুব্বর ও মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর পক্ষের ইয়াকুব মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পুখুরিয়া বাজার ও বাসস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ১৭ বছর ধরে প্রতিমাসে বাজার ও বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় কয়েক লাখ টাকা চাঁদা ও খাজনা আদায় করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে বিএনপির লোকজন তাদের দুই পক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়।
আজ রোববার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাজার ও বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অপরদিকে বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলা আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি গ্রামে আমপাড়া নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সুয়াদী গ্রামের আলী মিয়া লোকজন ও দেলোয়ার মিয়ার গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, গত দুদিন ধরে পুখুরিয়া, সুয়াদী ও আজিমনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পুকুরিয়া এলাকা থেকে আটজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।