গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মী সীমা আক্তার (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর শরীরের নব্বই শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান তাঁর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সীমা আক্তার। এই ঘটনায় আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জয়দেবপুর থানার মোগর খাল এলাকার একটি বাসায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ পারভিন আক্তার (৩৫) ও তাঁর ছেলে আয়ান (দেড় বছর বয়স), শেফালী বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে আসা দগ্ধদের প্রত্যেকেরই দগ্ধের পরিমাণ প্রায় ৮০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
দগ্ধ সীমার স্বামী জানান, সন্ধ্যার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের গোল্লা এসে পড়লে তার স্ত্রী ও এক শিশুসহ মোট পাঁচজন দগ্ধ হন। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।