মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে এক রোগী ও তাঁর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আনসার। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্তব্যরত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মো. নুরুল ইসলাম কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়ার্ডে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে রোগী শেফালী আক্তার (২৫) ও তাঁর স্বজনদের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার সম্মুখীন হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, কর্তব্যরত ডাক্তার ওয়ার্ডে রাউন্ড দেওয়ার আগে বহিরাগতদের বাইরে অবস্থান করার কথা রয়েছে। তবে উক্ত রোগী ও তাঁর স্বজনেরা ওয়ার্ডে এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। বিষয়টি মানতে অনুরোধ করলে রোগী ও স্বজনেরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং আনসার সদস্য শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আনসারের এপিসি (এসিট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডার) মো. এরশাদ হোসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও মানিকগঞ্জের জেলা কমান্ড্যান্টকে বিষয়টি অবহিত করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ, রোগী শেফালী আক্তারের মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের আরও ধৈর্য ধারণ করে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া জেলা কমান্ড্যান্টের নির্দেশে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আনসার গার্ডের পিসি (প্লাটুন কমান্ডার) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উক্ত রোগী ও স্বজনদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বদা সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী ও তাঁর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ ওঠে নুর ইসলাম নামের এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আনসার সদস্য নুর ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।