রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মেঘনার পক্ষে আদালতে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মহসিন রেজা, মহিমা বাঁধন ও সাদমান সাকিব। শুনানিতে তারা আদালতকে জানান, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। যেই অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন। শুধু হেয়পতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি নারী বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ১০ এপ্রিল ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৭ এপ্রিল তাকে ধানমণ্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে।
এতে আরও বলা হয়, দেওয়ান সমির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক। মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। আকর্ষণীয় ও স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিক লাভজনক প্রতিষ্ঠান জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।