গণপিটুনিতে নিহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকেও বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল শামীমকে বহিষ্কারের চিঠি ইতিহাস বিভাগে পৌঁছায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমানের সই করা এই চিঠিতে শামীম ছাড়াও ওই বিভাগের আরও ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়েছে। এদের সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।
তালিকার প্রথম নামটিই শামীমের। তাদের নামের পাশে ব্রাকেটবন্দি অবস্থায় ‘মৃত’ শব্দটিও লেখা আছে।
জুলাই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট মোট ২৫৯ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এদের মধ্যে যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের সনদ স্থগিত হবে, যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের ফল স্থগিত থাকবে। আর যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল শিক্ষার্থীর গণপিটুনিতে শামীমের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলছে।
মৃত শামীমকে বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, অসাবধানতাবশত ভুলে তালিকায় শামীমের নাম এসেছে।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘সিন্ডিকেট থেকে পাওয়া তালিকা শিক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন। ৩৭টি বিভাগে আলাদা আলাদা চিঠি সই করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি ঠিক করে আবারও বিভাগে পাঠানো হবে।’