নাশকতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে সৈনিক (বরখাস্ত) মো. নাঈমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কতিপয় বরখাস্ত/অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্যদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা করে আসছিলেন নাঈমুল। এরই ধারাবাহিকতায়, তিনি আগামী ১৮ মে ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশপথে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
এ ধরনের শৃঙ্খলা-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল খিলক্ষেতের বটতলা বাজার এলাকায় সৈনিক (বরখাস্ত) নাঈমুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। এ সময় নাঈমুল তাঁর কিছু সহযোগীকে নিয়ে উপস্থিত একজন সেনা সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দ্বারা অতর্কিত হামলা চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুল ও তাঁর দুই সহযোগীকে আটক করে।
উল্লেখ্য, সৈনিক (বরখাস্ত) নাঈমুলকে স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন সামরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনুষাঙ্গিক আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা সেনানিবাসের চারপাশের এলাকায় সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ১৮ মে রোববার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় স্বরণী হতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাংগীর গেট সংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ হতে মহাখালী ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সকল প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো।